রুবেল রানা , সালথা (ফরিদপুর):
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাড়ে চার বছরেও মেলেনি ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। ইনডোর চালু হলে কাঙ্খিত সেবা পাবে উপজেলাবাসী।
জানা যায়, ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি গত ২০২০ সালের ২৪ মার্চ কার্যক্রম চালু হলেও চালু হয়নি ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে যন্ত্রপাতি ঠিক মতো থাকলেও জনবল সংকটে রয়েছে। ইনডোর চালু না হওয়ায় সমস্ত যন্ত্রপাতি পড়ে আছে অযত্নে। ফলে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটছে মানুষ। শিশু ও গাইনী কনসালটেন্ট এবং সার্জিক্যাল চিকিৎসকের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিয়ে ইনডোর চালু করলেই রোগীরা তাদের কাঙ্খিত সেবা পাবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৪জন মেডিকেল অফিসার থাকলেও কনসালটেন্ট হিসেবে কোন পদ সৃষ্টি হয়নি। এখানে রয়েছে ২১ জন নার্স, যাদের প্রত্যেকেই কর্মরত রয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আপাতত আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ওয়ার্ডবয় হিসেবে কোন জনবল নেই।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহিনুল ইসলাম বলেন- ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জনবল সংকট রয়েছে। ইনডোর স্বাস্থ্য সেবা চালু করতে আরও অনেক জনবল প্রয়োজন। পর্যায়ক্রমে আমরা উন্নতি করছি। প্রতিদিন ২শতাধিকেরও অধিক রোগীকে আউটডোরে সেবা দিয়ে আসছি। স্বাভাবিক পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এক্সরে করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এনসিডি কর্ণার চালু রয়েছে, যেখানে ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। তবে জনবল নিয়োগ ও ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু হলে সালথাবাসী তাদের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাবে। আশা করছি খুব শীগ্রই ইনডোর স্বাস্থ্যসেবা চালু হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোহাম্মাদ নিজাম তালুকদার, উপদেষ্টা সম্পাদক : মোঃ ইমদাদ তালুকদার।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হাউজ নং-৩৭, ব্লক- j, ইষ্টাণ হাউজিং, মিরপুর -১২, ঢাকা। মোবাইল : ০১৮২৮-১৩৭১৭১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত