হাসান আলী সোহেল, নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরপাড়া মির্জাপুরদীঘা এলাকায় প্রেমঘটিত পূর্ব বিরোধের জেরে শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছেলে রাকিব (২২)-কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে স্থানীয় সাবেক বিএনপি নেতা নুর হোসেন ও তার সহযোগীরা।
রোববার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে রাকিব আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
ভুক্তভোগীদের পরিবার জানায়, ঘটনার রাতে রাকিব মোল্লা নিজ বাড়ির সিঁড়িতে বসে মোবাইল দেখছিলেন। এ সময় নুর হোসেন, তার ছেলে কাউসিক এবং আরও কয়েকজন সহযোগী এসে রাকিবকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে জোরপূর্বক নুর হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে নুর হোসেন নিজেই রাকিবের বাবা শফিকুল ইসলামকে ফোন করে ছেলের অবস্থার কথা জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করা হয়।
ঘটনার পর আহত শফিকুলের ছোট ভাই মহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নুর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মহিদুল ইসলাম জানান, নুর হোসেনের মেয়ের সঙ্গে তার ভাতিজা রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল যে, আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। তারপরও নুর হোসেনের নেতৃত্বে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত নুর হোসেন ফোনে দাবি করেন, “রাকিব আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। অনেকবার নিষেধ করলেও শোনেনি। বরং সেদিন রাত একটার দিকে রাকিব ও তার বাবা দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং রাকিব ও তার বাবাকে থানায় নিয়ে যায়। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোহাম্মাদ নিজাম তালুকদার, উপদেষ্টা সম্পাদক : মোঃ ইমদাদ তালুকদার।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: হাউজ নং-৩৭, ব্লক- j, ইষ্টাণ হাউজিং, মিরপুর -১২, ঢাকা। মোবাইল : ০১৮২৮-১৩৭১৭১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত