
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আদিবাসী গ্রামগুলোতে দিন- দুপুরে রাতের আধারে আদিবাসী মহিলারা মাদক বিক্রি করছেন। এসব মাদক খাওয়ার জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসেন মাদকসেবনকারীরা | কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, বয়স্ক- বৃদ্ধসহ নানা পেশার মানুষ আসেন বিভিন্ন যানবাহনে এই পড়াগুলোতে আসেন তারা । সন্ধার পরে গ্রামগুলাতে মদ খাওয়ার জন্য হিড়িক পড়ে যায়।
৫ অক্টোবর (রবিবার) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- উপজেলার পারকুন্ডা, গোরকই ( আলশিয়া হাট) পূর্ব ভোলাপাড়া, পশ্চিম ভোলাপাড়া, পশ্চিম ঘনশ্যামপুর, বাকসা সুন্দরপুর, বলিদ্বারা, তেঘরিয়া, রাউতনগর, গ্রামে আদিবাসী মহিলারা বোতলে বোতলে মাদক বিক্রি করছেন সমাজের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ও নানা পেশার মানুষের কাছে। এসব আদিবাসী মহিলাদের দেশীয় মাদক বিক্রি করার ফলে নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ এবং ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একটি পরিবারের ফুলের মতো সাজানো গোছানো সংসার। সরকারিভাবে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীদের তৈরীকৃত মদ খাওয়ার জন্য অনুমতি রয়েছে কিন্তু তাদের নিজের হাতে তৈরীকৃত দেশীয় মদ বিক্রী করার অনুমতি নেই। তারপরেও আদিবাসী মহিলারা সরকারের নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকার পাহাড় গড়েছেন। দেশের আইনে মাদক বিক্রি করা বে- আইনি ও অপরাধ । পুর্বেও উপজেলা প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থা ইএসডিও সচেতন করার পরেও কিছু গ্রামে এখনো রমরমা মাদক ব্যবসা চলছে। সচেতন মহলের একটায় দাবি যারা এই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত তাদের দ্রত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। এবং সন্ধার পরে আদিবাসী গ্রামগুলোতে পুলিশের নজরদারী এবং পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে আদিবাসী নেতা লেখক ও সাংবাদিক শান্ত পাহানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান–আমাদের সরকারিভাবে দেশীয় মদ তৈরী করার পারমিশন থাকলেও বিক্রী করার অনুমতি নেই | এ রকম জঘন্য এবং অপরাধ কাজে জড়িত কোন আদিবাসী থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন |মাদক বিক্রীর ফলে আদিবাসী গ্রামগুলোতে চুরির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে |