
হাসান আলী সোহেল, নাটোর প্রতিনিধি
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ড. মোঃ শাহজাহান পিপিএম (বার)-এর নির্দেশনায় এবং নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে লালপুর উপজেলার চরাঞ্চল, পদ্মা নদী ও স্থলভাগে গত রাতে একাধিক স্থানে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই অভিযানে জেলা পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রায় ৪০০ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। অভিযানটি পরিচালিত হয় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী, হ্যাকার ও প্রতারক চক্রকে আটক এবং বিভিন্ন ওয়ারেন্ট তামিলের লক্ষ্যে।

অভিযানে দেশীয় তৈরি একটি ওয়ান শুটার গান, একটি রিভলবার, ছয়টি বড় ডেগার, ২২টি হাসুয়া, চারটি চাকু-ছোরা, দুইটি চাপাতি, একটি দা, একটি লোহার পাইপ, একটি টিউবওয়েল ও একটি চকি উদ্ধার করা হয়।
নদী ও স্থলভাগ উভয় স্থানে পরিচালিত অভিযানে চারজন হ্যাকার, ছয়জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, একজন হত্যা মামলার আসামি এবং দুইজন মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থলভাগে পুলিশের ১০টি টিম এবং পদ্মা নদীতে ১৪টি নৌকা ও ট্রলারে করে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পদ্মা নদীতে পরিচালিত অভিযানে র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে চর জাজিরা, চর লালপুর এবং চর দিয়ার বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালায়।
চর দিয়ার বাহাদুরপুরের একটি বালু মহলের ছাউনি/অফিস থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েকটি ডেগার, অনেকগুলো হাসুয়া, একটি টিউবওয়েল এবং বিপুল পরিমাণ বালু বিক্রির রশিদ উদ্ধার করা হয়।
এই বৃহৎ অভিযানে অংশগ্রহণ করেন র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শোভন, সহকারী পুলিশ সুপার (সিংড়া সার্কেল) নূর মোহাম্মদ, সিংড়া ও লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ র্যাব ও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, লালপুর উপজেলার বিশেষ করে চরাঞ্চল ও পদ্মা নদীতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।