দুনিয়ার মুজুর এক হও এক হও, এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ১লা মে বৃহস্পতিবার মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপিত হয়েছে।
শত বঞ্চনার মাঝে অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণী দিন মে দিবস। গ্রীষ্মের প্রচন্ড উষ্ণতায় মানুষ থেকে প্রানী সবাই হিমেল ছায়ার সন্ধানে ছুটে চলে। তপ্ত রোদ থেকে নিস্কৃতি পেতে পাখিরা আশ্রয় নেয় গাছের উঁচু মগডালে পত্র-পল্লবের ছায়ায়। বাগানে গাছের ছায়ায় কুকুর ছানারা আশ্রয় নিয়ে একহাত জিহ্বা বের করে গরম যন্ত্রনায় লালা ঝরিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচার চেষ্টা করে। বনের রাজা সিংহ সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়ার পরও গরম তাকে এতই কাবু করে যে শেষ পর্যন্ত একটু প্রশান্তি খুঁজতে তাকে পানিতে নেমে পড়তে হয়। গরমের নিকট সবাই কাবু হয়ে যখন প্রশান্তির ছায়ায় আশ্রয় খুঁজে তখন শ্রমজীবি মানুষগুলোকে এতটুকু পর্যন্ত টলাতে পারেনা গ্রীষ্মের উষ্ণতা।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এটা শ্রমিক দিবস হিসেবে পরিচিত। শ্রমজীবী মানুষের প্রেরণা ও আবেগের দিন এই পয়লা মে। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছিল শ্রমিকরা। তাদের রক্তাক্ত স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৮৯০ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তামাম পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই মে মাসের ১ তারিখ নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে শ্রমিক দিবস। বাংলাদেশও এই দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে। সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সকল পর্যায়ে মে দিবস এখন গুরুত্বসহকারে পালিত হচ্ছে। মে দিবস এলেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে ঘর্মাক্ত মেহনতি মানুষের প্রতিচ্ছবি। আর এই মেহনতি মানুষের অধিকারের প্রশ্নটিও সাথে সাথে উঠে আসে এই ঐতিহাসিক দিনে। তবে এই দিবসের তাৎপর্য অনেক। এর পেছনে রয়েছে একটি রক্তস্নাত ইতিহাস তাই এই দিনটিতে প্রতি বছরের ন্যায় সারা পৃথিবীতে সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রেখে দিনটি উদযাপন করা হয়, মিলিত হয় সর্ব স্তরের সকল মানুষ।