পাভেল ইসলাম মিমুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের এই দিনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দিবসটি ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। চারঘাট উপজেলার প্রধান সড়ক, মোড়, অলিগলি থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সজ্জিত হয়েছে পুরো এলাকা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালিটি শুরু হবে চারঘাট পাইলট স্কুল মাঠ থেকে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চারঘাট বাজারে শেষ হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি(রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক,রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও যুগ্ম সম্পাদক, রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘার) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন উজ্জল।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জীবন,চারঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মতিন,পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ওবাইদুল হক মিতুল,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মতলেবুর রহমান,পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদুজ্জামান তিতাস,
রাজশাহী জেলা সংগ্রামী দলের সভাপতি মোঃ মওদুদ আহমেদ মধু ,রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু সায়েম মো: রাজিবসহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি, চারঘাট পৌর বিএনপি, উপজেলা ছাত্রদল,পৌর যুবদল,ছাত্রদলসহ অংশ নেবেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা।
আনোয়ার হোসেন উজ্জল বলেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তাই ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবের দিনটি ছিল হামলা-মামলা মাথায় নিয়ে নিছক আনুষ্ঠানিকতা। তবে গতবছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলে দেশে ফিরে আসে শান্তির পরিবেশ, যেটিকে দেশের মানুষ বলছেন দ্বিতীয় বিজয় দিবস। দেশের অন্যান্য মানুষের মতো রাজনৈতিক দল হিসেবে সবচেয়ে নির্যাতনের শিকার বিএনপিতেও বিরাজ করছে স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। তাঁর ন্যায়-নীতি, আদর্শ, সততা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব।’
তারেক রহমান এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে, ‘দেশে কোনো রকম চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দখলবাজি, জুলুম ও নির্যাতন মেনে নেওয়া হবে না।’ এছাড়া, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান তিনি।
পরবর্তীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।