1. info@dailysamajerbani.com : https://www.dailysamajerbani.com/wp-admin/ https://www.dailysamajerbani.com/wp-admin/ : https://www.dailysamajerbani.com/wp-admin/ https://www.dailysamajerbani.com/wp-admin/
  2. info@www.dailysamajerbani.com : দৈনিক সমাজের বাণী :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
সালথায় ৭শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারী আটক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ রাণীশংকৈলে কবরস্থান গেটের ছাঁদ ধসে ট্রাক্টর চালকের মৃত্যু সালথায় বসতবাড়িতে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন প্রচন্ড তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন সালথায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে দেশিয়ে অস্ত্র সহ আটক ৪ হাসনাত আবদুল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে হরিপুরে, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বালিয়াডাঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত দুই রাজশাহীতে তিন যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: প্রত্যাহারের দাবিতে চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও ঠাকুরগাঁওয়ে সুপ্রিয় জুট মিলে আগুন, বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে

যেমন ছিলেন ফরিদপুরের প্রবীণ সাংবাদিক এম.এ আজিজ

হারুন-অর-রশীদ
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

এম.এ. আজিজ। ছিলেন ফরিদপুরের প্রবীণ সাংবাদিক। কাজ করতেন দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকায়। খুব মিশুক ও অমায়িক মানুষ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন। আমি তখন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে অনার্স প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। সালটা হবে হয়তো ২০১২ নয়তো ২০১৩। তখন তিনি ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন। আমি মাঝেমধ্যেই তাঁর অফিসে যেতাম। আমাকে খুব স্নেহ ও ভালোবাসতেন। তাঁর কাছে অনেক বিপদগ্রস্ত মানুষ আসতেন একটু ন্যায় বিচার পাইতে। যতদূর সম্ভব সর্বোচ্চ দিয়ে হলেও চেষ্টা করতেন মানুষের জন্য কিছু করতে। মানুষকে খুব ভালোবাসতেন।

এরই মাঝে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সময় সংবাদ’ নামে একটি অখ্যাত পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পেলাম আমি। বাড়ি থেকে বাবা পড়াশোনার খরচের জন্য যে টাকা দিতেন, তা থেকে বাঁচিয়ে কিছু টাকা হাতে রেখে শহরের অনাথের মোড়ের একটি কম্পিউটার দোকান থেকে পত্রিকা অফিসের মেইলে নিয়মিত নিউজ পাঠাতাম। তবে, অধিকাংশ নিউজই ছাপা হতো না! আজিজ ভাই আমাকে কেমনে নিউজ লিখতে হয়, কিভাবে শিরোনাম করতে হয় এসব মাঝেমধ্যে শেখাতেন। আমি মনোযোগ সহকারে শুনতাম তাঁর কথাগুলো। কাজও দিয়েছিল বেশ।

সাংবাদিকতার অনেক কিছুই শিখেছিলাম এই আজিজ ভাইয়ের কাছে থেকে। অনেকের কাছেই আমাকে তাঁর ছোট ভাই হিসেবে পরিচয় করে দিতেন। এছাড়া সালথা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাওয়ার জন্যও তৎকালীন ক্লাবটির সভাপতি সেলিম মোল্যাকে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধ রেখেও ছিলেন সেলিম ভাই। এছাড়া কোনো সমস্যায় পড়লেই আগে যাকে ফোন দেওয়া হতো তিনি ছিলেন সাংবাদিক আজিজ ভাই। যতদূর সম্ভব পাশেও পেয়েছি তাঁকে। এভাবে ধীরে ধীরে সাংবাদিকতায় এগিয়ে যাওয়া। এভাবে ‘দৈনিক যোগাযোগ প্রতিদিন’, ‘দৈনিক পুনরুত্থান’, ‘দৈনিক বিশ্ববার্তা’, অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্বাধীনবাংলা২৪.কম, বিডি২৪লাইভ.কম সহ আরও বেশকিছু পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করে এগিয়ে যেতে থাকি আমি।

মানুষের অনুপ্রেরণা, মেধা, সাহস আর যদি পরিশ্রম থাকে তবে তাকে আঁটকিয়ে রাখা যায়না। এই কথাগুলো আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম। তাইতো, এগিয়ে যাওয়ার পথে যুক্ত হলাম বাংলাদেশের সুনামধন্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলানিউজ২৪.কম’,-এর সাথে। কিছুদিন পর কাজ করার সুযোগ হলো ‘দৈনিক আজকালের খবর’, ও ‘বাংলাদেশ জার্নাল’ পত্রিকায়। এভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথে সালথা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেলাম ‘দৈনিক ইনকিলাব’ পত্রিকায়। একই সঙ্গে সালথার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হলাম ‘সালথা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি’।

একটা কথা বলা বাহুল্য যে, আমি যতদূর সম্ভব সাংবাদিকতায় নিজেকে মোহ, মায়া, কিংবা অর্থের কাছে বিক্রি হওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেছি। মিথ্যা কিংবা ক্ষমতাশালীর সঙ্গে কখনো আপোষ করিনি বলে সব সময়ই অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমার। আমার বাবা-মা এখনো বকা দেন যে, ‘নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কি দরকার’। বারবার বিপদেও পড়তে হয়েছে সত্য লেখার জন্য। ফরিদপুরের আলোচিত রুবেল-বরকত ভাইদের বিরুদ্ধে কথা বলে এক সপ্তাহ জেলও খেটেছি। এই কথা হয়তো ফরিদপুরের অনেক সাংবাদিক কিংবা অনেকেরই অজানা। তবুও মাথা বিক্রি করিনি তাদের কাছে। আমি আজও ফরিদপুরের ছোট্ট একটি বাসা ভাড়া করে থাকি। আর বেশিরভাগ সময়ে হেঁটে হেঁটে মার্কেট কিংবা শহরের মধ্যে চলাফেরা করি। যাতে, দু’টি টাকা বাঁচে। কারণ, অল্প বেতনের ছোট্ট একটি চাকরি করি। এ টাকা দিয়েই চলতে হয় আমার। মাঝেমধ্যে অনেকে হেঁটে চলতে দেখে রিক্সা কিংবা গাড়িতে উঠার অনুরোধ করেন। আমি, তাদের বলি হাঁটলে শরীর ভালো থাকে। এই সংবাদকর্মী জীবনে পদার্পণ করে কতশত মানুষের নিউজ করে দিয়েছি, বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছি, তবে বিনিময়ে এক কাপ চা পর্যন্ত খাইনি। যাঁরা উপকার পেয়েছেন তাঁরা নিশ্চয় জানেন। যারা আমাকে ভালো করে চিনেন তারা দ্বিমত পোষণ করবেন না। যাক, বলতে বলতে নিজের অনেক চাঁটাম করে ফেললাম। অনেকেই বলবেন নিজের ঢোল নিজে পেটাচ্ছি!

যাহোক, ওসব নিয়ে না হয় আরেকদিন বলবো। আবার আসি সাংবাদিক আজিজ ভাই সম্পর্কে। আমার এক ফুফা একটা মিথ্যা মামলায় বিপদে পড়লেন, আমি আজিজ ভাইকে জানালাম। পরামর্শ চাইলাম। ভাই, বুদ্ধি দিয়ে ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সে মামলা থেকে মুক্তি পায় আজিজ ভাইয়ের ভালোবাসায়। এভাবে বহু সমস্যায় পাশে পেয়েছি সাংবাদিক আজিজ ভাইকে। আমার মতো অনেকেই হয়তো সাহায্য কিংবা সহযোগিতা পেয়েছেন এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সত্যিই আজিজ ভাইকে ভুলার নয়।

কিন্তু, হঠাৎ দুরারোধ্য রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালের ১৯ মে অকালে প্রাণ হারান এই সাংবাদিক। আজ গাছের তলায় কবরে পড়ে আছে তাঁর নিথর দেহ। কেউ ডাকলেও সাড়া দেয়না, বলেনা কারো সাথে কথা! অনেকেই ভুলে গেছেন হয়তো আজিজ ভাইয়ের কথা! তবে তাঁর ছেলে Rishan Mahmud Rony র ফেসবুকে মাঝেমধ্যেই আজিজ ভাইয়ের কবরের ছবিগুলো দেখি। দোয়া করতে দেখি। তখন, চোখটা ছলছল করে আমার। মনেপড়ে যায় ফেলেআসা সেই সোনালী দিনের কথা। আজিজ ভাই বড় মনে পড়ে আপনাকে, বড় ভালোবাসি আপনাকে। আপনার স্মৃতিগুলো আজও মানসপটে ভেসে উঠে বারবার। আল্লাহ যেন আপানাকে জান্নাতবাসী করেন। আজিজ ভাই ভালো থাকবেন, আমাদের জন্য দোয়া করিয়েন আজিজ ভাই। আপনি বেঁচে থাকতে আপনার জন্য কিছু করতে পারলাম না আজিজ ভাই। শুধু সহযোগিতাই নিয়েছি। ক্ষমা করে দিয়েন আজিজ ভাই। পরকালের শেষ প্রহরে হয়তো দেখা হবে আবার! আবার কথা হবে!

–লেখক:
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি,
বাংলানিউজ২৪.কম, দৈনিক আজকালের খবর ও বাংলাদেশ জার্নাল।

সালথা উপজেলা প্রতিনিধি:
দৈনিক ইনকিলাব।
সহ-সভাপতি, সালথা প্রেসক্লাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট