সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান হাসান, জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী:
নরসিংদীর রায়পুরা চরাঞ্চলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন সংবাদদাতাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সায়দাবাদ স্কুল মাঠে আওয়ামীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। যারা আমাদের আওয়ামী ট্যাগ লাগিয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারাই মূলত আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী। সেনাবাহিনী দেশের গর্বিত সন্তান। দেশের সেবায় দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের দ্বারা এমন কোনো কাজ কোনো দিনও সম্ভভ নয়। আমাদের নাম ও সাবেক কর্মপরিচয় জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদাকে হেয় করা হয়েছে এবং আমরা মনে করছি এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরও সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিচার এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি করছি।
সায়দাবাদ স্কুল মাঠে “রাতের আঁধারে আওয়ামীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ সাবেক সেনা কর্মকর্তার” এমন ঘটনা সম্পর্কে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এ বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে লেখাপড়া করে গুণিজন হয়েছেন অনেকে। এছাড়া প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইন শৃংখলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য গেছেন অনেকে। এ বিদ্যালয়টি মানুষ গড়ার কারিগর। এর মাঠে কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ড কখনো হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।
বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মামুন কবির বলেন, আমি বিদ্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসি এবং সারারাত জেগে বিদ্যালয়ের অভ্যান্তরে ঘুরে ঘুরে পাহাড়া দেই। পাহাড়া শেষে সকাল ৬টার দিকে বাড়ি ফিরি। আমার চোখে এমন কোনো ঘটনা পড়েনি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠে কিংবা ক্লাস রুমে এমন অপকর্ম করার মত সাহসও কারো হবে না।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, এ বিদ্যালয়ের মাঠে এমন কোনো ঘটনার কথা আমরা শুনিনি। তাছাড়া রাতের আঁধারেও যদি হয়ে থাকতো তবে আমাদের বিদ্যালয়েল সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে, সেও তো আমাদের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করতো। তাছাড়া এমন কর্মকান্ড করার কোনো সুযোগও নেই আমাদের বিদ্যালয় আঙ্গিনায়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজ সেবক মাসুদ মিয়া, সিরাজুল হক, দুলাল মিয়া, মামুন মিয়াসহ এলাকার প্রায় শতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত, নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের সায়দাবাদ স্কুল মাঠে “রাতের আঁধারে আওয়ামীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ সাবেক সেনা কর্মকর্তার” শিরোনামে বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেখানে দুই সেনা সদস্যকে জড়িত করে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়।