নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আদর্শের সৈনিক অহিদ উল্লাহ। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ৪টি মামলাসহ বিভিন্ন ধরণের নির্যাতণের শিকার হয়েছেন। এতে তিনি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
অহিদ উল্লাহ টানা তিন বার স্থানীয় আয়ূবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা। তিনি শহীদ জিয়ার সূর্য সৈনিক হিসেবে দলের প্রতি আস্থাশীল। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকন ও সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহীর আস্থাভাজন। তিনি শিবপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও আইয়ুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী অহিদ উল্লাহের বিরুদ্ধে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকার দুটি নাশকতার মামলার আসামী করে। একটি মামলার প্রধান আসামী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদারের সঙ্গে ওনাকে ৬ নম্বর আসামী করা হয়। আরেকটি মামলায় ভিপি তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ওনাকে ২২ নম্বর আসামী করা হয়। উভয় মামলায় আসামী হয়ে তিনি এক বছর পলাতক জীবন যাপন করেন। সরকার পরিবর্তনের পর নিজ এলাকায় ফিরেছেন অহিদ উল্লাহ মেম্বার।
সরেজমিনে এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, অহিদ উল্লাহ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছেন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করেছেন। বিগত আওয়ামী লীগের আমলে দেশে সবচেয়ে বেশি আমরা বিএনপির নেতা—কর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে অহিদ উল্লাহ মেম্বার। তিনি বিগত সরকারের আমলে জনগনের ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হতে পারলেও ইউনিয়ন পরিষদের বসতে পারেনি তাদের অত্যাচারে। আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে ইউনিয়ন পরিষদ আসতে নিষেধ করেছে এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে তাকে বিরত রেখেছে। এছাড়া তিনি বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে একাধিক মামলার আসামী হয়েছেন।
জানতে চাইলে অহিদ উল্লাহ মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন, আমি ছোট থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি করেছি। যুবদলের ইউনিয়ন ও উপজেলার দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বাকী দিনগুলোও শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
তিনি বলেন, আমি যেহেতু ইউপি সদস্য সেহেতু এলাকার স্বার্থে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অনেক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আমাকে নানা সময় বসতে হয়েছে। আর এসব ছবি ফেসবুকে ছেড়ে সম্প্রতি আওয়ামী দোসররা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি সেসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।