ঠাকুরগাওয়ের হরিপুরের ২নং আমগাও ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
অদ্য ১৩-০৭-২৫ ইং রবিবার সকাল আনুমানিক ১১টায় মোছাঃ মামনী আক্তার (২২) স্বামী মোঃ মতিবুল হক, তিনি নিজ শয়ন ঘরের বিছানার পাশে বাঁশের সাথে নিজের পরনের ওড়না দিয়ে আত্মা হত্যা করেছেন।
মৃত্যু মামনী আক্তার আমগাও মশালডাঙ্গী গ্রামের পিতা মৃত্যু পল্টু মিয়ার কন্যা ছিলেন, গত কয়েক মাস আগে আমগাও গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মতিবুল হক এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তার।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সুত্রে এবং পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারা যায় যে, মৃত্যু মামনী আক্তার অনেক ভদ্র ও নম্রতার নারী ছিলেন, কারো সাথে ঝগড়া ঝামেলা ছিলো না।
আজ সকালে তার স্বামীকে মাংস এবং কাঁচা বাজার ক্রয় করে আনতে বলেন, সেই জন্য স্বামী মতিবুল হক আমগাও চৌরাস্তা বাজারে জান কাচামাল ক্রয়ের জন্য, বাজার খরচ করে আসলে বাড়িতে দেখেন তার স্ত্রী মোছাঃ মামনী আক্তার ঘরের বিছানার পাশে বাসের সাথে নিজ পড়নের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মা হত্যা করেছেন, পড়ে স্বামী মতিবুল হক চিল্লা হাল্লা করলে আশে পাশের বাড়ির ও গ্রামের লোকজন ছুটে আসেন।
স্বামী মতিবুল হক কে এই বিষয়ে জানতে গেলে তিনি বলেন আমি একজন গরীব অসহায় মানুষ বাজারে চায়ের দোকানে কাজ করছি, আমার স্ত্রী অনেক ভালো মানুষ ছিলেন গ্রামের কারো সাথে ঝগড়া ঝামেলা ছিলো না তার আমি তাকে অনেক ভালোবাসি, তার সাথে আমার কোন ঝগড়া ঝামেলা ছিলো না, আজ সকালে আমাকে মাংস ক্রয় করতে বলেন এবং রুটি দিয়ে ভালো ভাবে রান্না করে এক সাথে খাবো, এমনটাি বলেন আমাকে, তার এই কথা শুনে আমি বাজারে যায় মাংস ক্রয় করে বাসায় আসে দেখি আমার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছেন।কেন সে এমনটা করলো আমাকে কেন জানালো না, কেন সে কিছু বল্লোনা কি কারণে আমাকে একা করে চলে গেলো এমনটাই বলছেন স্বামী মতিবুল হক।
এই বিষয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হবিবুর রহমান চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনা বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
এই বিষয়ে হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ জাকারিয়া মন্ডল কে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাস করা হলে, তিনি বলেন মেয়ের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, সেই লিখিত অভিযোগে কারো উপর কোন সন্দেহ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়ায় মাটি দেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।