ববি প্রতিনিধি, আশিকুর রহমান:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং আদালতে প্রমাণিত তথ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
বিশেষ করে, গত কয়েক মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে, যা জনগণের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর, ২০২৪) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গৃহীত হয়েছে এবং সারা দেশে কার্যকর হবে।
সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং এই আইনের তফসিল-২-এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামের ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। ছাত্রলীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন দেখার বিষয়।