পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে পিছিয়ে নন দিনাজপুর বিরল উপজেলা। এই বীজকে কালো সোনা বলে কৃষকরা। পেঁয়াজের বীজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তরুন উদোক্তা মিলন ইসলাম।
মিলন ইসলাম জানান বীজ পরিচর্যায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজে অংশ নেন।
সাদা ফুলে কালো বীজ, স্বর্ণের মতো দাম। তাই কৃষকরা এর নাম দিয়েছেন ‘কালো সোনা’। দূর থেকে মনে হয়, ভিন্ন কোনো সাদা ফুলের বাগান।
আর এই ফুলের মধ্যে লুকিয়ে আছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ চাষীদের পেঁয়াজের বীজের চাহিদা মেটায় দিনাজপুরের বিরলে এই কালো সোনা। তিন বছরের ন্যায় বিরল উপজেলায় আবাদ করেন মিলন ইসলাম এ বীজের। পেঁয়াজের গাছের গোলাকৃতি কদম ফুলের মতো সাদা ফুলের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মূল্যবান দানা। হাত দিয়ে পরাগায়নের কাজ করছেন কৃষাক-কৃষাণীরা। মিলন ইসলাম জানান প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ভালো ফলনের আশা করছেন।
তবে চলতি মৌসুমে মৌমাছি না থাকায় হাত দিয়েই পরাগায়ন করতে হচ্ছে চাষীদের।
সার, কীটনাশক ও বীজের দাম বেশি হওয়ায় এ বছর আগের তুলনায় খরচ বেশি হয়েছে।
তরুন উদ্যোক্তা মিলন ইসলাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৮ একর জমিতে পেঁয়াজের বীজ আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালোই লাভবান হবো। আমার ক্ষেতে অনেক নারী-পুরুষ বীজ পরিচর্যার কাজ করছেন। এখন হাত দিয়ে পরাগায়নের কাজ চলছে। এক থেকে দেড় মাস পর বীজ তোলা শুরু করবো। তারপর মাড়াই এবং প্রক্রিয়াজাত করে বীজ প্যাকেট করা হবে।’
বীজ বিক্রির কোথায় করেন বললে, মিলন ইসলাম জানান আমি বীজ সরাসরি কৃষকদের দিই, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, মাগুড়া জেলায় কৃষকদের দিয়েছি। তাদের এ বছর আমার বীজ নিয়ে পেয়াজ অনেক ভালো হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে পরিচর্যা চালিয়ে যারছি, তরুন উদোক্তা হিসাবে কৃষি অধিদপ্তর সব সময় যেনো আমাদের পাশে থাকে, আর সার কীটনাশক দামটা যেনো কমিয়ে আনে।